আমাদের সমাজের প্রচলিত নিময় হচ্ছে আপনি জন্মাবেন । বড় হবেন, তারপর বিয়ে করবেন । বাচ্চা জন্ম দিবেন । তাদের বড় করবেন তারপর এক সময়ে মরে যাবেন । এই হচ্ছে জীবনের সার্কেল । এটা যদি না হয় তাহলে সমাজের মানুষ আপনাকে ঠিক মত বাঁচতে দিবে না । এমন সব ভাবে আপনার পেছনে তারা লেগে থাকবে যে আপনি এক সময়ে বিরক্ত হয়ে সেই সার্কেলের ফেরৎ আসতে বাধ্য হবেন । তবে সত্যই যদি আপনার বিয়ে বাচ্চাতে ইচ্ছে না থাকে এটা কিন্তু কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার না । অর্থ্যাৎ সমাজ আপনাকে যতই বোঝানোর চেষ্টা করক না কেন যে আপনি বিয়ে না করে অস্বাভাবিক অবস্থায় আছেন, সত্যি বলতে কি আপনি অবশ্যই অস্বাভাবিক না । আপনি খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিয়ের জন্য তৈরি নাই থাকতে পারেন । এমন কি অজীবনই অবিবাহিত অবস্থাতেই থাকতে পারেন । আসুন দেখে নেওয়া যাক যে কোন কোন ব্যাপারে আপনার বিয়ে না করাটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ।
১. আপনার ভেতরে যদি কম্প্রমাইজের ব্যাপারটা না থাকেঃ আমাদের চলার পথে সব সময় কিছু না কিছু কম্প্রমাইজ করে চলতেই হয়। আর যখন একই ছাদের আরেকটা মানুষের সাথে বসবাস করতে শুরু করেন তখন আপনাকে কম্প্রমাইজ করতেই হয় । কিন্তু সত্যি বলতে আমরা অনেকেই এই কম্পরমাইজের মনভাব রাখি না । কিংবা আরো ভাল করে বললে আমরা এটা করতেই পারি না । আর এটা একেবারে স্বাভাবিক একটা ব্যাপার । সেই ক্ষেত্রে আপনার জন্য স্বাভাবিক ব্যাপারে হবে এমন কোন পসিস্থিতি তৈরি করা যেখানে আপনাকে কম্প্রমাইজ না করতে হয় । বিয়ে না করাই তখন আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। বরং বিয়ে করাটা হবে ভুল । কারণ বিয়ে করলে আপনার কম্প্রমাইঝ করতেই হবে ।
২. সম্পর্কের বেড়াজাল আপনার কাছে ভাল লাগে নাঃ প্রেম করা কিংবা কারো সাথে সম্পর্কে জড়ানো ঘুড়ে বেড়াতে আপনার ভালই লাগে । আসলে এই ব্যাপার গুলো সবারই পছন্দের কিন্তু মনে রাখা দরকার যে একটা সম্পর্কে জড়ানো সাথে সাথে সেই সম্পর্কের সাথে নানান রকম দায়িত্ব কর্তব্য আর ঝামেলা এসে হাজির হবে । এটা আসলে আসবেই । এটা একটা ফুল প্যাকেজ বলতে পারেন । আনন্দ যেমন আসবে তেমনি ঝামেলাও আসবে । কারো কম বা কারো বেশি । কিন্তু আসবে । আপনি যখন আনন্দ টুকু নিবেন আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে যে দুঃখ ঝামেলা টুকুও গ্রহন করা । যদি ঝামেলা গ্রহন করতে রাজি না হোক তাহলে এই সম্পর্কে জড়ানো ঠিক হবে না মোটেই । আর আপনি যদি ঝামেলাটা বেশি গুরুত্ব দেন তাহলে অবশ্যই সম্পর্ক বিয়ে থেকে দুরে থাকতে হবে ।
৩. আপনি কমিনমেন্টে বিশ্বাসী ননঃ আপনার কাছে কমিটমেন্ট মানেই পরাধিণা । আপনি সব সময় স্বাধীন থাকতে পছন্দ করেন। বিয়ে করা মানেই আপনার সব সিদ্ধান্তের বেলাতে একটা বাঁধা আসবে । এবং এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার । তখন আপনার সব সিদ্ধান্ত কাজ কর্মের বেলাতে আপনার বিবাহিত জীবনের একটা প্রভাব থাকবে । সেটা নিয়ে আপনাকে চলতে হবে । কিন্তু এমনটা যদি আপনি না করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে চলতে হবে এটার থেকে দুরে থাকতে হবে ।
৪.বিয়ের ব্যাপারে তিক্ততাঃ একবার হয়তো বিয়ে করে আপনি তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে কিংবা আপনি খুব কাছ থেকে এই ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করেছেন যেটা আপনার বিয়ে ব্যাপারে একটা নেগেটিভ ধারণা জন্ম দিয়েছে । সেই ক্ষেত্রে বিয়ের দিেক না যাওয়াই হয়তো ভাল আপনার জন্য ।
৫. প্রথাবিরোধীঃ সমাজে সবাই যা করছে আপনারও তাই করতে হবে এমন মনভাব আপনার নেই । অন্য সবাই বিয়ে করছে বলেই আপনাকে বিয়ে করতে হবে এমন মনভাব আপনার নেই । আপনি ঠিক যেভাবে আছেন সেভাবেই থাকতে চান ।
বিয়ে করা সমাজের একটা নিয়ম । আদিকাল থেকে নারীপুরুষের এক সাথে থাকার যে প্রথা সেই প্রথার কারণেই এমনটা চলে আসছে বহু যুগ ধরেি । কিন্তু তার মানে এটা নয় যে আপনাকে সেই প্রথা মানতেই হবে । আমাদের সবার বিয়ে করা উচিৎ এই কারণে যখন আমরা ফিল করি কিংবা আমাদের মনের মত কাউকে পাই বিয়ে করার জন্য । সবাই বিয়ে করছে বাচ্চা নিচ্ছে এই কারণে আমাকেও বিয়ে করতে হবে এই মনভাব থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ ।
Comments
Post a Comment